Advertisement

৫০টি ইস্তেগফার ও দুআ সমূহ

 ৫০টি ইস্তেগফার ও দুআ সমূহ



১। দুনিয়া আখিরাতের কল্যানের জন্য দোয়া-

.

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

.

উচ্চারনঃ “রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরতি হাসানাতাও ওয়া কিনা আজাবান্নার”

.

অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান কর এবং পরকালেও কল্যাণ দান কর। আর আমাদেরকে আগুনের-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা কর।’(সুরা বাকারা- আয়াত ২০১)

.

কাতাদা (রাঃ) আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন কোন দোয়া রাসুল (সাঃ) বেশি পড়তেন তখন আনাস (রাঃ) উপরে দোয়াটির কথা বলেছিলেন (মুসলিম)

==========

২। হিদায়াত পাওয়ার পর অন্তরের বক্রতা হতে মুক্তি চাওয়া-

.

رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ

.

উচ্চারনঃ রব্বানা-লা-তুযিগ্ কুলূবানা- বা’দা ইয্ হাদাইতানা-ওয়া হাবলানা-মিল্ লাদুন্কা রহমাহ , ইন্নাকা আন্তাল্ ওয়াহ্হা-ব্

.

অর্থঃ হে আমাদের রব, আপনি হিদায়াত দেয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। (সুরা আল ইমরানঃ আয়াত ৮)

_

অনেকেই হিদায়াত পাওয়ার পরেও আবার আগের চেহারায় ফিরে যাই/যেতে থাকি। কেউ অল্প মাত্রায়, কেউ বেশি। তারা এই দুয়াটা নিয়মিত পড়ব অবশ্যই।।

=========

৩। খুব ছোট্ট_কিন্তু_অনেক_গুরুত্বপূর্ণ_একটা_দুআঃ

.

‎ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻌَﺎﻓِﻴَﺔَ

.

"আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকাল- 'আ-ফিয়াহ"

.

আল-আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু), রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাচা, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলেন আর জিজ্ঞাসা করলেন —

"ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমাকে একটা দু'আ শিখিয়ে দিন"

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন —

"হে আমার চাচাজান, বলুন:

আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকাল-'আ-ফিয়াজ"

(হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে 'আফিয়াহ চাচ্ছি")

আফিয়াহ কি?

যখন আমরা মহান আল্লাহ্'র কাছে আফিয়া চাই তখন তা বুঝায় —

🔸যেকোন দু:খ-দর্দশা থেকে মুক্তির জন্য দু'আ

🔸সুস্বাস্থ্য অর্জনের জন্য দু'আ

🔸বেচে থাকার তাগিদে আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য দু'আ

🔸সন্তানের সুরক্ষার জন্য দু'আ

🔸শাস্তির পরিবর্তে ক্ষমা পাবার জন্য দু'আ

'আফিয়াহ অর্থ "ইয়া আল্লাহ, আমাকে সকল দু:খ, গ্লানি ও ভোগান্তি থেকে রক্ষা কর"

দুনিয়া এবং আখিরাতে উভয় যায়গায়ই।

আল-আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) খানিক চিন্তা করলেন এবং দিন কয়েক পরে ফিরে আসলেন এবং বললেন —

"ইয়া রাসূলুল্লাহ, এতো খুবই ছোট্ট দু'আ, আমাকে বড় কিছু শিক্ষা দিন"

তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন —""ও আমার প্রাণপ্রিয় চাচা, আল্লাহ্'র কাছে আফ্যিয়া কামনা করুন, আল্লাহ'র কসম এর চাইতে উত্তম কোন জিনিস আপনাকে দেওয়া হবে না"

এটা খুবই ছোট্ট দু'আ, যার মাধ্যমে আমরা যা বুঝাই —

"ওহ! আল্লাহ, আমি পরিত্রাণ চাই মর্মপীড়া, বিষাদ, কষ্ট, ক্ষতি থেকে; আমাকে পরীক্ষা করো না"

রাব্বে ক্বারীমের কাছে এরকম সকল কিছুই আমরা চেয়ে থাকি এই বলে:"আল্লাহুম্মা ইন্নি আস'আলুকাল 'আফিয়াহ"

[রিয়াদ্বুস স্বলেহীন, সুনান আত-তিরমিযী]

আত-তিরমিযী, খন্ড: ০৬, অধ্যায়:৪৫,

দু'আ অধ্যায়, হাদিস নং: ৩৫১৪।

===========

৪।

.

رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ

.

[রব্বানা- যলামনা- আনফুসানা- ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা- ওয়া তারহামনা- লানা কু-নান্না মিনাল খসিরী-ন]

.

হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব।

(সুরা আরাফঃ ২৩)

========

৫।

.

رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ

.

[রব্বানা- আফরিগ 'আলাইনা সবরাও ওয়া তাওয়াফফানা মুসলিমী-ন]

হে আমাদের পরওয়ারদেগার আমাদের জন্য ধৈর্য্যের দ্বার খুলে দাও এবং আমাদেরকে মুসলমান হিসাবে মৃত্যু দান কর- (সুরা আরাফঃ ১২৬)

========

৬।

رَ‌بَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا

.

[রব্বানা লা~ তুওয়াখিজনা ইন নাসি-না আও আখ ত্ব-না]

.

হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না

(সুরা বাকারাঃ ২৮৬)

========

৭।

رَ‌بَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرً‌ا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا

[রব্বানা ওয়ালা তাহমিল 'আলাইনা ইসরান কামা- হামালতাহু 'আলাল্লাযীনা মিন ক্ববলিনা]

হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ।

(সুরা বাকারাঃ ২৮৬)

======

৮।

رَ‌بَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ‌ لَنَا وَارْ‌حَمْنَا أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْ‌نَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِ‌ينَ

.

[রব্বানা ওয়া লা~ তু হাম্মিলনা মা লা~ ত্ব কতালানা- বিহ, ওয়া 'আফু আন্না, ওয়াগফিরলানা, ওয়ারহাম'না আনতা-মাওলানা ফা'নসুরনা 'আলাল কওমিল কা-ফিরী-ন]

.

হে আমাদের রব! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।

(সুরা বাকারাঃ ২৮৬)

=======

৯। সুন্দর মৃত্যু লাভের দুয়া:

.

اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ حُسْنَ الْخَاتِمَةِ.

.

উচ্চারনঃ আল্লহুম্মা ইন্নি আসআলুকা হুসনাল খ-তিমাহ

.

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উত্তম মৃত্যু চাই।

=========

১০। জীবিত বা মৃত পিতামাতার জন্য দোয়া-

.

رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا

.

উচ্চারণঃ রব্বীর হাম্হুমা-কামা-রব্বাইয়া-নী সগী-রা-

.

অর্থ :হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন (সূরা আল-ইসরা- আয়াত ২৪)

=========

১১। নিজে এবং নিজের বংশধরদের সালাত কায়েমকারী হওয়ার জন্য দোয়া-

.

ﺭَﺏِّ ﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻲ ﻣُﻘِﻴﻢَ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﻭَﻣِﻦ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻲ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺗَﻘَﺒَّﻞْ ﺩُﻋَﺎﺀ

উচ্চারণঃ “রব্বিজ 'আলনি মুকিমাস সলাতি ওয়ামিন যুররিইয়াতি রব্বানা-ওয়া তাকব্বাল দুয়া-

.

অর্থঃ “হে আমার রব! আমাকে তাদের একজন কর, যারা নিয়মিত সালাত কায়েম করে এবং আমার বংশধরদের মধ্যে থেকেও। হে আমার প্রভু তুমি আমার প্রার্থনা গ্রহণ কর।"(সুরা ইব্রাহিম- আয়াত ৪০)

=========

১২। সব প্রকার ইস্তিগফারঃ

=================

ক) ✅আস্তাগফিরুল্লাহ্✅

.

অর্থ:— আমি আল্লাহ্'র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

.

৫ ওয়াক্ত ফরজ সালাতে সালাম ফিরানোর পর রাসুলুল্লাহ্ (সা:) এই দোয়া ৩বার পড়তেন। [ মিশকাত— ৯৬১ ]

_________

খ) ✅আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।

.

অর্থ: আমি আল্লাহ্'র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর দিকে ফিরে আসছি।

.

রাসুলুল্লাহ্ (সা:) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তওবা ও ইস্তেগফার করতেন। [ সহীহ্ বুখারী — ৬৩০৭ ]

________

গ) ✅ "আসতাগ্ ফিরুল্লাহাল্লাযী লা~ ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূম ওয়া আতুবূ ইলাইহি।

.

অর্থঃ- "আমি আল্লাহ্'র কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মাবূদ নাই, তিনি চিরঞ্জিব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তওবা করি।

.

এই দোয়া পড়লে আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দিবেন, যদিও সে যুদ্ধ ক্ষেত্র হতে পলায়নকারী হয়। [ আবু দাউদ— ১৫১৭, তিরমিযী— ৩৫৭৭, ]

____

ঘ)

ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻭَﺗُﺐْ ﻋَﻠَﻰَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ

.

(রব্বিগফিরলী ওয়াতুব ‘আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত্ তাওয়াবুর রহীম)

.

অর্থাৎ ‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন। আমার তাওবা গ্রহণ করুন। নিশ্চয় আপনি তাওবা গ্রহণকারী, অতি দয়ালু।’ - [আবু দাউদ : ১৫১৬]

____

ঙ)

✅ সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া📝

..

আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে কেউ যদি প্রতিদিন সকাল (ফযরের পরে) ও সন্ধ্যায় (আসর বা মাগরিবের পরে) পড়ে আর সে ঐদিন মারা যায় ইন শা’ আল্লাহ সে জান্নাতে যাবে। এই গ্যারান্টি দিয়ে গেছেন স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সাঃ)। (বুখারী, তিরমিযী ৫/৪৬৬)

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِر لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

.

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আংতা রব্বি

লা~ ইলা-হা ইল্লা আনতা,

খালাক্বতানি ওয়া আনা আ’বদুক,

ওয়া আনা-আ’লা আহ’দিকা

ওয়া-ওয়া' দিকা মাস্তা-ত্বয়া’তু,

আ’উযুবিকা মিং শাররি মা-সনা’তু

আবু-উ-লাকা বিনি’মাতিকা

আলাইয়্যা ওয়া-আবু-উ লাকা-

বি-যামবি, ফাগফিরলী, ফা-ইন্নাহু

লা ইয়াগফিরুয যুনু-বা ইল্লা-আংতা।

.

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো আর আমি তোমার বান্দা। আমি আমার সাধ্যানুযায়ী তোমার সাথে যে ওয়াদা করেছি তা পূরণ করার চেষ্টায় রত আছি, আমি আমার কর্মের অনিষ্ট থেকে পানাহ্ চাই, আমি স্বীকার করছি আমার প্রতি তোমার প্রদত্ত নিয়ামতের কথা এবং আমি আরো স্বীকার করছি আমার পাপে আমি অপরাধী, অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করো, তুমি ছাড়া ক্ষমা করার আর কেউ নাই।

========

১৩। সমস্ত মুসলিম উম্মাহর জন্য দুয়াঃ

.

رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ

.

উচ্চারণঃ রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়া লিদাইয়্যা ওয়া- লিলমুমিনীনা ইয়াওমা ইয়া কু-মুল 'হিসা-ব্।

.

অর্থ: হে আমাদের রব, যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। (সূরা ইবরাহিম- আয়াত ৪১)

.

এখানে পিতামাতার পাশাপাশি অন্য মুমিনদের জন্যও ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে আর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারীদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, তাহলে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য একটি করে সওয়াব আল্লাহ তার আমল নামায় লিখে দেবেন (ত্বাবরানী, শাইখ আলবানী হাদীছটিকে হাসান সহিহ বলেছেন, সহীহুল জামে হা/৬০২৬)

.

হাদিসটা নিয়ে একটু চিন্তা করে দেখুন, বর্তমান পৃথিবীতেই ২০০ কোটির উপরে মুসলিম রয়েছে আর আদম (আঃ) থেকে শুরু করে কিয়ামত পর্যন্ত মুসলিমের সংখ্যা কত হবে সেটা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা ছাড়া আর কারো পক্ষেই জানা সম্ভব নয় অথচ তাদের জন্য ১ বার ক্ষমা চাইলেই আপনি সেই সংখ্যক নেকী পেয়ে যাবেন যার পরিমাণ কোন মানুষের কল্পনায়ও আসবে না। ইসলামের সৌন্দর্য দেখুন, ইসলাম শুধু নিজের কথা চিন্তা করতে বলে না বরং অন্যদের কল্লান কামনা, তাদের প্রতি বিদ্বেষ না রাখা, তাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এটাও শরীয়তে বিরাট ইবাদত হিসাবে বিবেচিত আর সেই কারনেই দেখা যাচ্ছে মুসলিম ভাই বোনদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়াতে তিনি এমন পরিমাণ সওয়াব নির্ধারণ করেছেন যেটা আর কোথাও পাওয়া যায় না।

=========

১৪। দ্বীনের উপর অটল থাকার দুয়া:

.

اللَّهُمَّ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلَى دِيْنِكَ

.

উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলুব, ছাব্বিত ক্বলবী আ'লা দ্বীনিক

.

অর্থ:- হে আল্লাহ! হে হৃদয়ের পরিবর্তন কারী! আপনি আমার হৃদয়-কে আপনার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন।

===========

১৫। মৃত্যুর আগে তাওবা নসীব হওয়ার জন্য দুয়া:

.

اللَّهُمَّ أَرْزُقْنِيْ تَوْبَةً نَصُوحَةً قَبْلَ الْمَوتِ

.

উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মারঝুক্বনি তওবাতান্নাসু-হাহ, ক্ববলাল মাউত

.

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মৃত্যুর পূর্বে খাটি দিলে তওবা করার সুযোগ করে দিবেন।

========

১৬। মহামারী, মারাত্মক রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তির দোয়াঃ

...

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি, ওয়াল জুযামি, ওয়া মিন সায়্যিইল আসকম।

.

অর্থঃ হে আল্লাহ্‌! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি পাগলামী, কুষ্ঠ রোগ, শ্বেতরোগ এবং অতি মন্দ রোগ ব্যাধি হতে।

(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৪৯৩)

========

১৭। আল্লাহর কাছে হিদায়াত ও তাকওয়া চাওয়ার দোয়া-

.

‏ "‏اللهم إني أسألك الهدى، والتقى، والعفاف، والغنى‏"‏

.

উচ্চারনঃ "আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আলুকাল হুদা ওয়াত-তুকা ওয়াল আ'ফাফা ওয়াল গিনা।"

.

অর্থ: হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে হেদায়েত, তাকওয়া, সুস্থতা ও সম্পদ প্রার্থনা করছি - (সুনানে আত-তিরমিযী: ৩৪৮৯)

==========

১৮।

رَ‌بَّنَا أَفْرِ‌غْ عَلَيْنَا صَبْرً‌ا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْ‌نَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِ‌ينَ

.

(রব্বানা আফ্রিগ 'আলাইনা সবরাও ওয়া সাব্বিত আক'দ্বা-মানা- ওয়ানসুরনা- 'আলাল কওমিল কা-ফিরী-ন।)

.

“হে আমাদের রব! আমাদের সবর দান করো, আমাদের অবিচলিত রাখ এবং এই কাফের দলের ওপর আমাদের বিজয় দান করো।”

(সুরা বাকারাঃ ২৫০)

=======

১৯। দুই সিজদার মাঝে বৈঠকের দোয়াতে আপনার সব চাওয়া রয়েছে-

.

اَللّهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ (وَاجْبُرْنِيْ وَارْفَعْنِيْ) وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ।

.

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াজবুরনী ওয়াররফা’নী ওয়াহহ্‌দিনী ওয়া আ-ফিনী ওয়ারযুক্বনী।

.

অর্থ- হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, দয়া কর, আমার প্রয়োজন মিটাও, আমাকে উঁচু কর, পথ দেখাও, নিরাপত্তা দাও এবং জীবিকা দান কর। (আবূদাঊদ-৮৫০, তিরমিযী-২৮৪, ইবনে মাজাহ্‌-৮৯৮,হাকেম, মুস্তাদরাক)

.

ক্ষমা, দয়া, সমস্ত প্রয়োজন মিটানো, নিচুতা দূর করে উচু করা, সঠিক পথে পরিচালনা করা, নিরাপত্তা দেওয়া, জীবিকা দেওয়া এই সমস্ত কিছু প্রতি রাকাত সলাতের ১ সিজদা থেকে উঠে বসে আপনি আল্লাহর কাছে চেয়ে নিতে পারছেন আর সলাতটাই তো মুলত মুনাজাত, অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে সলাতের মধ্যে আল্লাহর কাছে দোয়া কবুলের আশা সবচেয়ে বেশি থাকে, আপনি একবার চিন্তা করুন প্রতিদিন এত রাকাত সলাতে আমরা এত বার যদি আল্লাহর কাছে এই দুয়াটা করি আর কোন ১বারও যদি দয়াময় আল্লাহ সুবহানাহু তা'লা কবুল করে নেন তাহলে দুনিয়া আখিরাতে আমাদের আর কোন অপ্রাপ্তি থাকবে কি?

=======

২০। উত্তম স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান পাওয়ার দোয়া-

.

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

.

উচ্চারণঃ রব্বানা-হাবলানা-মিন আয্ওয়া-জ্বিনা- ওয়া যুররিইয়্যা-তিনা-কুররতা আ’ইয়ুনিঁও ওয়া জ‘আল্না-লিল মুত্তাকী-না ইমা-মা

.

অর্থঃ হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী/স্বামী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন। (সূরা আল-ফুরকান- আয়াত ৭৪)

=======

২১। বিপদ থেকে মুক্তির জন্য দুয়া (ইউনুস আঃ-এর দুয়া) :

.

لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

..

উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা সুবহা-নাকা, ইন্নী কুন্তু মিনায্ যা-লিমীন।

.

অর্থ: ‘(হে আল্লাহ) তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তুমি নির্দোষ মহাপবিত্র, নিশ্চয়ই আমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছি’ (আম্বিয়া ৮৭)।

====

২২। জ্ঞান, ইলম ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধির জন্য দো‘আ :

.

رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا

.

উচ্চারণ: রব্বি ঝিদনী ‘ইলমা

.

অর্থ: ‘হে প্রভু! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও’ (সুরা ত্বা-হা ১১৪)।

====

২৩। হিসাব সহজের দুয়াঃ

.

اللهُمَّ حَاسِبْنِىْ حِسَابًا يَسِيْرًا

.(আল্লাহুম্মা হা-সিবনি হিসাবাই ইয়াসী-রা)

হে আল্লাহ! আমার নিকট হতে সহজ হিসাব নিও

====

২৪।

اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَمُ وَ مِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ يَاذَا الجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ

.

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আনতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালামু তাবারকতা ইয়া যাল জালালী ওয়াল ইকরাম ।

.

অর্থ : “হে আল্লাহ ! তুমিই শান্তির প্রতীক । তুমিই শান্তিময় এবং শান্তির ধারা তোমার হ’তেই প্রবাহিত । তুমি বরকতময় হে প্রতাপ ও সম্মানের অধিকারী ।

(সূত্র : মুসলিম , মিশকাত হাদিস নং-৮৯৯ )

=====

২৫। প্রত্যেক ফরয সালাতের পর এই দোয়াটি পড়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মুয়ায (রাঃ) কে অসিয়ত করেন

.

اَللَّهُمَّ أَعِنِّيْ عَلَي ذِكْرِكَ وَ شُكْرِكَ وَ حُسْنِ عِبَادَبِكَ

.

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আ’ইন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা ।

.

অর্থ : “হে আল্লাহ ! তুমি আমাকে সাহায্য কর , যেন আমি তোমার শুকরিয়া আদায় করতে পারি এবং ভালভাবে তোমার ইবাদাত করতে পারি ।”

====

২৬। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযুবিকা মিনান্নার।

.

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই। আবু দাউদ-৭৯২।

====

২৭। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল ফাক্বরি ওয়াল কিল্লাতি ওয়ায যিল্লাতি ওয়া আ’উযুবিকা মিন আন আযলিমা আও উযলিমা”। (আবু দাউদ-হা/১৫৪৪)।

.

অর্থ: হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট অভাব, স্বল্পতা ও অপমান হতে আশ্রয় চাই, আরো আশ্রয় চাই অত্যাচার করা ও অত্যাচার হওয়া থেকে।

===

২৮। আনাস (রাঃ) বলেন, নবি সা: বলতেন-

“আল্লা-হুম্মা ইন্নি আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-‘আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন গালাবাতিদ দ্বীনি ওয়া কাহরির রিজালি।”

.

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে; অপারগতা ও অলসতা থেকে; কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে; এবং ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে। (সহীহ বুখারি, হা/২৮৯৩/৬৩৬৯, মিশকাত, হা/ ২৪৫৮, তিরমিযি, হা/৩৪৮৪, আবু দাউদ, হা/১৫৪১, আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৭২))

====

২৯।

رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ

.

উচ্চারণ : রব্বি হাবলি মিনাস সলিহি-ন।’

.

(সুরা সাফফাত : আয়াত ১০০)

====

৩০।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

..

হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।

.

আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-‘আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন দ্বালা‘য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল- (বুখারী, ৭/১৫৮, নং ২৮৯৩)।

=======

৩১।

লাইলাতুল কদরে ক্ষমা চাওয়ার বিশেষ দুয়াঃ

.

اللهم إنك عفو تحب العفو فاعفُ عني

.

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল্ আফওয়া ফা’ফু আন্নী।

.

অর্থ: হে আল্লাহ। তুমি ক্ষমাশীল। তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ কর, তুমি আমাকে ক্ষমা কর।[আহমদ]

======

رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

[ রব্বানা ইন্নানা আ-মান্না ফাগফিরলানা যুনু-বানা ওয়াকিনা 'আযাবান নার]

হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর।

(সুরা আলে ইমরানঃ ১৬)

৩২।

.

رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا

[রব্বানাসরিফ 'আন্না 'আযাবা জাহান্নামা; ইন্না 'আযাবাহা- কা-না গরা-মা- ]

“হে আমাদের রব! জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের বাঁচাও, তার আযাব তো সর্বনাশা।

(সুরা ফুরকানঃ ৬৫)

========

৩৩।

رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

[রব্বানা আ-মান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আনতা খইরুর রহিমী-ন]

হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অতএব তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি রহম কর। তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু- (সূরা মু'মিনূনঃ ১০৯)

=====

৩৪।

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

হে আমাদের পালনকর্তা! মোচন করে দাও আমাদের পাপ এবং যা কিছু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে আমাদের কাজে। আর আমাদিগকে দৃঢ় রাখ এবং কাফেরদের উপর আমাদিগকে সাহায্য কর।

(সুরা আলে ইমরানঃ ১৪৭)

=======

৩৫।

رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ

হে আমাদের প্রতি পালক, আমরা মুসলমান হয়ে গেলাম। অতএব, আমাদেরকেও মান্যকারীদের তালিকাভুক্ত করে নিন।

(সুরা মায়িদাঃ ৮৩)

=======

৩৬।

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে এ জালেমদের সাথী করো না।

(সুরা আরাফঃ ৪৭)

========

৩৭।

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

.

হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের উপর এ জালেম কওমের শক্তি পরীক্ষা করিও না ।

(সুরা ইউনুসঃ ৮৫)

=========

৩৯।

.

رَّبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ

[রাব্ববানা 'আলাইকা তাওয়াক্কালনা , ওয়া ইলাইকা আনাবনা, ওয়া ইলাইকাল মাসী-র]

.

হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা তোমারই উপর ভরসা করেছি, তোমারই দিকে মুখ করেছি এবং তোমারই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন - (আল-মুমতাহিনাঃ ৪)

=======

৪০। রোগ মুক্তির দুয়াঃ (আয়্যুব আঃ-এর দুয়া) :

উচ্চারণ: রব্বাহু আন্নী মাসসানিইয়াদ দুররু ওয়া আন্তা আরহামুর রা-হিমীন।

অর্থ: ‘হে আমার প্রভু! আমি দুঃখ-কষ্টে পতিত হয়েছি, তুমিই তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু’ (আম্বিয়া ৮৩)।

====

৪১।

رَ‌بَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

.

(রব্বানা ওয়া তাকাব্বাল দুয়া)

.

হে আমাদের রব! আমাদের থেকে কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ।

.

(সুরা বাকারাঃ ১২৭)

=======

৪২।

দুয়া মাসুরাঃ

.

اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّك أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

.

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের প্রতি অনেক যুলম করে ফেলেছি। আর তুমি ছাড়া গুনাহ ক্ষমা করার কেউ নেই। অতএব তুমি তোমার পক্ষ থেকে আমাকে বিশেষভাবে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর। নিশ্চয়ই তুমি বড়ই ক্ষমাশীল ও অতিশয় দয়ালু রব।

=====

৪৩।

رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ

.

[রব্বানা ফাগফিরলানা যুনুবানা ওয়া কাফফির 'আন্না ছাইয়্যাতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মা'আল আবরার]

.

হে আমাদের পালনকর্তা! অতঃপর আমাদের সকল গোনাহ মাফ কর এবং আমাদের সকল দোষত্রুটি দুর করে দাও, আর আমাদের মৃত্যু দাও নেক লোকদের সাথে।

(সুরা আলে ইমরানঃ ১৯৩)

=====

৪৪।

ফেরাউনের জান্নাতী স্ত্রীর দুয়াঃ

رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ

.

[রাব্বিবনি লি ই'ন্দাকা বাইতান ফিল জান্নাহ]

হে আমার পালনকর্তা! আপনার সন্নিকটে জান্নাতে আমার জন্যে একটি গৃহ নির্মাণ করুন।

(সুরা তাহরীমঃ ১১)

=====

৪৫। আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত কখনো যেন হারিয়ে না যায়-

.

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ ‏"‏

.

উচ্চারণঃ “আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন যাওয়া-লি নি‘মাতিক, ওয়া তা 'হাও্‌উলি ‘আ-ফিয়াতিক, ওয়া ফুজা-য়াতি নিক্‌মাতিক, ওয়া জামী’ই সাখ-তিক”

.

অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই নি‘আমাত দূর হয়ে যাওয়া হতে, তোমার দেয়া সুস্থতা পরিবর্তন হয়ে যাওয়া থেকে, তোমার অকস্মাৎ শাস্তি আসা হতে এবং তোমার সকল প্রকার অসন্তুষ্টি থেকে।”(মুসলিম- ৬৮৩৭)

======

৪৬। যে দোয়া ১ বার পাঠ করলে রাত দিন অনবরত জিকিরের চেয়েও বেশি সওয়াব পাবেন-

.

আবূ উমামাহ আল-বাহিলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি বসা অবস্থায় আমার ঠোঁট নাড়াচ্ছিলাম, এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আসলেন। তিনি (সাঃ) আমাকে বললেন: তোমার ঠোঁট নাড়াচ্ছো কেন? আমি বললাম, আল্লাহর যিকির করছি; হে আল্লাহর রাসূ্ল! তিনি (সাঃ) বললেন : আমি কি তোমাকে এমন কিছু জানাবো না, যখন তুমি তা বলবে তোমার রাত-দিনের অনবরত যিকির পাঠও এর সওয়াব পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না? আমি বললাম, হাঁ, বলুন। রাসুল (সাঃ) তখন এই দোয়া শিখিয়ে দিলেন

.

اَلْحَمْدُ لِلَّه عَدَدَ مَا أحْصَى كِتَابُهُ، وَالْحَمْدُ لِلَّه عَدَدَ مَا فِي كِتَابِهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّه عَدَدَ مَا أحْصَى خَلْقُهُ، وَالْحَمْدُ لِلَّه عَلَي ماَ فِي خَلْقِهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّه مِلْءَ سَمَاوَاتِهِ وَأرْضِهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّه عَدَدَ كُلِّ شَيْءٍ وَالْحَمْدُ لِلَّه مِلْءَ كُلِّ شَيْءٍ

سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا أحْصَى كِتَابُهُ، وَ سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا فِي كِتَابِهِ، وَ سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا أحْصَى خَلْقُهُ، وَ سُبْحَانَ اللَّهِ عَلَي ماَ فِي خَلْقِهِ، وَ سُبْحَانَ اللَّهِ مِلْءَ سَمَاوَاتِهِ وَأرْضِهِ، وَ سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ كُلِّ شَيْءٍ وَ سُبْحَانَ اللَّهِ مِلْءَ كُلِّ شَيْءٍ

اَللهَ أَكْبَرعَدَدَ مَا أحْصَى كِتَابُهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ عَدَدَ مَا فِي كِتَابِهِ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ عَدَدَ مَا أحْصَى خَلْقُهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ عَلَي ماَ فِي خَلْقِهِ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ مِلْءَ سَمَاوَاتِهِ وَأرْضِهِ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ عَدَدَ كُلِّ شَيْءٍ وَاللَّهُ أَكْبَرُ مِلْءَ كُلِّ شَيْءٍ

উচ্চারনঃ “আলহামদুলিল্লাহি আদাদা মা আহস্ কিতাবুহ্, ওয়াল হামদুলিল্লাহি আদাদা মা ফী কিতাবিহ্, ওয়াল হামদুলিল্লাহি আদাদা মা আহস্ খলকুহ্, ওয়াল হামদুলিল্লাহি আ’লা মা ফী খলক্বিহ্, ওয়াল হামদুলিল্লাহি মিলআ সামাওয়াতিহি ওয়া আরদিহ্, ওয়াল হামদুলিল্লাহি আদাদা কুল্লি শাই-ই, ওয়াল হামদুলিল্লাহি মিলআ কুল্লি শাই-ই

“সুবহানাল্লহী আদাদা মা আহস্ কিতাবুহ্, ওয়া সুবহানাল্লহী আদাদা মা ফী কিতাবিহ্, ওয়া সুবহানাল্লহী আদাদা মা আহস্ খলকুহ্, ওয়া সুবহানাল্লহী আলা মা ফী খলক্বিহ্, ওয়া সুবহানাল্লহী মিলআ সামাওয়াতিহি ওয়া আরদিহ্, ওয়া সুবহানাল্লহী আদাদা কুল্লি শাই-ই, ওয়া সুবহানাল্লহী মিলআ কুল্লি শাই-ই,

“আল্ল-হু আকবার আদাদা মা আহস্ কিতাবুহ্, অল্ল-হু আকবার আদাদা মা ফী কিতাবিহ্, অল্ল-হু আকবার আদাদা মা আহস্ খলকুহ্, অল্ল-হু আকবার আলা মা ফী খলক্বিহ্, অল্ল-হু আকবার মিলআ সামাওয়াতিহি ওয়া আরদিহ্, অল্ল-হু আকবার আদাদা কুল্লি শাই-ই, অল্ল-হু আকবার মিলআ কুল্লি শাই-ই

অর্থঃ “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য তার কিতাব যা গণনা করেছে সেই পরিমাণ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য তার কিতাব যা গণনা করেছে তা পূর্ণ করে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য তার সৃষ্টি যা গণনা করেছে সেই পরিমাণ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য তার সৃষ্টির মধ্যে যা কিছু আছে তা পূর্ণ করে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য তার আসমান ও জমিন পূর্ণ করে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য সকল কিছুর সংখ্যার সমপরিমাণ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য সব কিছুর উপর।

“আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার কিতাব যা গণনা করেছে সেই পরিমাণ, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার কিতাব যা গণনা করেছে তা পূর্ণ করে, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার সৃষ্টি যা গণনা করেছে সেই পরিমাণ, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার সৃষ্টির মধ্যে যা কিছু আছে তা পূর্ণ করে, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার আসমান ও জমিন পূর্ণ করে, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি সকল কিছুর সংখ্যার সমপরিমাণ, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি সব কিছুর উপর।

.

“আমি আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করছি তার কিতাব যা গণনা করেছে সেই পরিমাণ, আমি আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করছি তার কিতাব যা গণনা করেছে তা পূর্ণ করে, আমি আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করছি তার সৃষ্টি যা গণনা করেছে সেই পরিমাণ, আমি আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করছি তার সৃষ্টির মধ্যে যা কিছু আছে তা পূর্ণ করে, আমি আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করছি তার আসমান ও জমিন পূর্ণ করে, আমি আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করছি সকল কিছুর সংখ্যার সমপরিমাণ, আমি আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করছি সব কিছুর উপর।

.

(ত্ববারানী কাবীর হা/৭৫৮৭, ৮০৪৭, দুটি সানাদে হাদিসের শব্দাবলী তার। আলবানি হাদিসটিকে সহিহ লিগাইরিহি বলেছেন সহীহ্ আত তারগিব হা/১৫৭৫। আবু উমামাহ হতে হাদিসটা কিছুটা ভিন্ন শব্দে বর্ণীত হয়েছে আহমাদ, ইবনু আবুদ দুনিয়া, নাসায়ি, ইবনু খুজাইমা, ইবনু হিব্বান এবং হাকিমে। ইমাম হাকিম বলেনঃ বুখারি ও মুসলিমের শর্তে সহিহ। আলবানি বলেছেন সহিহ, সহিহ আত তারগিব হা/১৫৭৫- আহসানউল্লাহ বিন সানাউল্লাহ রচিত- কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে ফাজায়েলে আমাল বইয়ের ৭৮২ নাম্বার হাদিস)

.

প্রতিদিন যে কোন সময় পড়তে পারেন, ১বার ই পড়তে হবে এমন নয়, যতবার খুশী পড়তে পারেন তবে দিনে কমপক্ষে ১ বারও যদি এটা পড়েন তবে সারাদিন অনবরত জিকিরের সওয়াব পেয়ে যাবেন ইন শা আল্লাহ তবে দিনে রাতে অন্য যেগুলো সুন্নাতি জিকির আজকার রয়েছে সেগুলো আবার ছেড়ে দিবেন না যেন, জান্নাত পাওয়ার জন্য যতবেশি পাথেয় যোগাড় করতে পারব ততই আমাদের জন্য ভালো সুতরাং প্রতিদিন ১বার অন্তত পড়ার চেষ্টা করুন। প্রথমে একটু কঠিন মনে হতে পারে সেখেত্রে দেখে দেখে পড়তে পারেন কয়েক দিনের মধ্যেই মুখস্ত হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ।

=========

৪৭। শিরক থেকে বাঁচার দো'য়াঃ

.

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ.

.

উচ্চারনঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া ‘আনা আ‘লামু ওয়া আস্তাগফিরুকা লিমা লা আ‘লাম

অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি জ্ঞাতসারে আপনার সাথে শির্ক করা থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাই এবং অজ্ঞতাসারে (শির্ক) হয়ে গেলে তার জন্য ক্ষমা চাই।”

.

(আহমাদ ৪/৪০৩, নং ১৯৬০৬; ইমাম বুখারীর আল-আদাবুল মুফরাদ, নং ৭১৬। আরও দেখুন, সহীহ আল জামে ৩/২৩৩; সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব লিল আলবানী, ১/১৯। হিসনুল মুসলিম)

======

৪৮। শিরক বাদে বাকি সব পাপ থেকে মুক্তির দোয়াঃ

হযরত আব্দুর রহমান বিন গানম (রাঃ) হতে বর্ণিত নবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি মাগরিব ও ফজরের নামায থেকে ফিরে বসা ও পা মুড়ার পূর্বে (অর্থাৎ যেভাবে বসে সলাত শেষ করেছে ওভাবে বসেই) নিম্নোক্ত দোয়াটি ১০ বার পাঠ করবে,

.

«لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ»

.

উচ্চারনঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হাম্‌দু ইয়ুহ্‌য়ী ওয়াইয়ূমীতু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বদীর।

অর্থ: “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই এবং সকল প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান”।

.

আল্লাহ্‌ তার আমলনামায় প্রত্যেকবারের বিনিময়ে ১০টি নেকি লিপিবদ্ধ করেন, ১০টি গোনাহ মোচন করে দেন, তাকে ১০টি মর্যাদায় উন্নীত করেন, প্রত্যেক অপ্রীতিকর বিষয় এবং বিতাড়িত শয়তান থেকে (ঐ যিকির) রক্ষামন্ত্র হয়, নিশ্চিতভাবে শির্ক ব্যতীত তার অন্যান্য পাপ ক্ষমার্হ হয়। আর সে হয় আমল করার দিক থেকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, তবে সেই ব্যক্তি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ হতে পারে যে তার থেকেও উত্তম যিকির পাঠ করবে”(আহমাদ,সহীহ তারগীব-হাদিস ৪৭২)

=======

৪৯। মৃত্যুর পর আল্লাহ যেন আমাদের নেক্কার বান্দাদের সাথে মিলিয়ে দেন সেই মর্মে দোয়া-

.

فَاطِرَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ أَنتَ وَلِىِّۦ فِى الدُّنْيَا وَالْءَاخِرَةِ ۖ تَوَفَّنِى مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِى بِالصّٰلِحِينَ

.

উচ্চারনঃ ফা-তিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি, আনতা ওয়ালিয়্যি ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আ-খিরহ, তাওয়াফফানী- মুসলিমাওঁ ওয়া আলহিক্বনী- বিস সলিহী-ন.

.

অর্থ: হে আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, দুনিয়া ও আখিরাতে আপনিই আমার অভিভাবক, আমাকে মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু দিন এবং নেককারদের সাথে আমাকে যুক্ত করুন’। (সুরা ইউসুফ- আয়াত ১০১)

===========

৫০। মন্দভাগ্য থেকে রক্ষা পেতে দুয়াঃ

.

ﺍَﻟﻠّٰﻬُﻢَّ ﺍِﻧِّﻰْ ﺍَﻋُﻮْﺫُﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺟَﻬْﺪِﺍﻟْﺒَﻠَﺎﺀِ ﻭَﺩَﺭْﻙِ ﺍﻟﺸَّﻘَﺎﺀِ ﻭَﺳُﻮْﺀِ ﺍﻟْﻘَﻀَﺎ





Post a Comment

0 Comments